জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউপিতে পুন:তফসিল করতে হাইকোর্টের লিখিত আদেশ প্রকাশ

জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউপিতে পুন:তফসিল করতে হাইকোর্টের লিখিত আদেশ প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়া সিলেটের জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউপির ৫ জানুয়ারীর ভোট বাতিল করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুন:তফসিল ঘোষণা করতে হাইকোর্টের লিখিত আদেশ প্রকাশিত হয়েছে। পঞ্চম ধাপের নির্বাচনের পর ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে বির্তকিত নির্বাচন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে পরাজিত ইউপি সদস্য পদপ্রার্থীদের পক্ষে রীট দাখিল করেছিলেন ২নং ওয়ার্ডের প্রার্থী আব্দুল খালিক। গত ৩১ জানুয়ারী বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চে রীট শুনানী হয়। ৩ ফেব্রæয়ারী রীটের আদেশ লিখিত আকারে প্রকাশিত হয়।

আদেশে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ সুলতানপুর ইউপির নির্বাচন বাতিল করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুন:তফসিল ঘোষণা করতে আদেশ দেন। সোমবার জকিগঞ্জের সাংবাদিকদের হাতে আসে হাইকোর্টের লিখিত আদেশ কপি। রীটকারী আব্দুল খালিকের পক্ষে হাইকোর্টে শুনানি করেন আইনজীবি ওমিও চক্রবর্তী ও সরকার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। সোমবার বিকেলে রীটকারী আব্দুল খালিক হাইকোর্টের প্রকাশিত লিখিত আদেশ কপিসহ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে একটি দরখাস্ত দাখিল করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারী ইউপি ভোটের দিন বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের সময় রির্টানিং কর্মকর্তা শাদমান সাকীব ও আরিফুল হক জকিগঞ্জের মরিচা ভোট কেন্দ্রের সামনে থেকে চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীর সিল দেয়া ও খালি ব্যালট পেপার, মুড়ি বই ৮টি, ব্যালেট বাক্সের সিলগালা লক ৮টি, নগদ টাকা ১ লাখ সাড়ে ২১ হাজার, ফেন্সিডিলের খালি বোতল, কালো রঙের ঢাকা মেট্রো-ঠ ১৩-৭০২৮ গাড়ীসহ সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার (এসপি) ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শুক্কুর মাহমুদ মিয়ার হাতে ধরা পড়েন। তাৎক্ষণিক কাজলসার ইউপি ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ ঘটনায় দুই রির্টানিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মরিচা ভোট কেন্দ্রের ইনচার্জ সিলেটের জৈন্তা থানার এএসআই আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে দুই রির্টানিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার আইনে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে, সুলতানপুর ইউপির গণিপুর ভোটকেন্দ্রেও সীল মারা ব্যালেট পেপার বাক্সে ভরার ঘটনায় উত্তেজিত ভোটাররা ঐ কেন্দ্রের ব্যালেট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরে ফেলে দিলে গণিপুর কেন্দ্রের ভোটগ্রহণও স্থগিত করা হয়। এরপর পুরো উপজেলার বির্তকিত ইউপি ভোটের ফলাফল বাতিল চান পরাজিত প্রার্থীরা। এনিয়ে সিলেটে ও ঢাকায় আলাদা আলাদা সংবাদ সম্মেলন করেন পরাজিত প্রার্থীরা। এরপর বির্তকিত ভোটের ফলাফল বাতিল চেয়ে পৃথকভাবে কয়েকটা রীট হয় হাইকোর্টে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর